বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। গত বুধবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। এতে করে বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালাসহ নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশার মানুষ কাজ বের হচ্ছেন পেটের তাগিদে। কুয়াশার কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। অন্যদিকে হাসপাতালগুলো বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।
কুয়াশার সাথে মৃদু বাতাসে জবুথবু অবস্থায় পড়েছে শীতে বিপর্যস্ত মানুষ। বাড়িতে রান্নার চুলার আগুন এবং চায়ের দোকানের চুলায় শীত নিবারণের চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসাথে চায়ের দোকানগুলোতে চায়ের চুমুকে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্থ মানুষেরা। শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে যেতে দেখা গেছে অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এছাড়া পেটের তাগিদে দিন মজুর, ভ্যানচালক, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালাসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজে বের হয়েছেন ঠান্ডা উপেক্ষা করে।
অন্যদিকে, জেলার চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সরেজমিনে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায়, শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি রোগীর চাপ। তাদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। শুধু শিশু ওয়ার্ডে নয় হাসপাতালের আউটডোরেও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বয়সী শিশুদের কোলে নিয়ে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে মায়েদের। এছাড়া হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।